প্রাচীন মিশরের যৌনজীবন নিয়ে আমাদের ভিডিও দেখুন
আর্টিকেল পড়ুন
মমি, পিরামিড আর নীলনদ; সেই সাথে আধেক দানব আর আধেক মানবের পাথুরে উপস্থাপনে গড়ে ওঠা স্ফিংস। যে কাউকে এই কয়েকটি শব্দ বললে সহজেই বুঝে নেবে গল্পটা মিসরীয় সভ্যতার। শুধু কি তা-ই! গল্পের শুরু তো এখানে, আসুন দেখি এর শেষটা কোথায়!
যৌনতৃপ্তি আর সম্ভোগকে আরও উপভোগ্য আর দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাচীন মিশরের নারীরা তাদের যৌনাঙ্গে প্রয়োগ করতেন গাঁজা মেশানো মধু। উদ্দেশ্য ছিল ‘জরায়ু আর যোনিপথকে ঠাণ্ডা রাখা’। এই কাহিনি শোনামাত্রই অনেকে মিলিয়ে নিতে চাইবেন সম্প্রতি বিবিসি প্রকাশিত ‘ক্যানাসেক্সুয়াল’ শব্দবন্ধকে। ঐ সংবাদে তারা এই বিশেষ শব্দের অর্থ করেছেন ‘গাঁজানির্ভর যৌনসম্ভোগ’।
বিবিসির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই যৌনমিলন ও রতিক্রিয়ায় গাঁজাকে সম্পর্কিত করার যে ধারণা, তা শুরু করে প্রাচীন মিসরীয়রাই।
শুধু কি তা-ই! প্রাচীন মিশরীয়দের ধারণা, নীলনদের বিপুল বারিরাশির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকার মূল কারণ সেখানে মনুষ্যবীর্য মিশ্রিত হওয়া। এই প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে তারা দলবেধে উদোম শরীরে হাজির হতো দুই পাড়ে। কীজন্য তারা জড়ো হতো সেটা কি অনুমান করতে পারছেন আপনি? হস্তমৈথুন। আলোচিত ‘দ্য ডিক্টেটর’ মুভির ভাষায় যাকে বলা যায় ‘সেলফ জুসিং’।
প্রাচীন মিসরীয়রা মনে করতো, ‘তাদের দেবতা অটাম স্বমেহনের মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন। নীলনদের প্রবাহ ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল। সেটা তখনকার মিশরীয় শাসকদের মনে ধরে। তাই তারা নীলনদের পাড়ে বছরের একটি বিশেষ সময়ে হস্তমৈথুন করাটা বাধ্যতামূলক করে দেয়।
উৎসবের দিনে মিসরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলে ফেরাউনরা নীলনদের ধারে উপস্থিত হতেন। তারপর চাঁদের অবস্থান দেখে উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা হতো। পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠানের সঙ্গে মন্ত্রপাঠের পর পুরোহিতের নির্দেশে শুরু হতো সে মহেন্দ্রক্ষণ। সবার আগে নিজেদের সমস্ত পোশাক-পরিচ্ছদ খুলে উদোম হয়ে নীলনদের পাড়ে দাঁড়াতেন ফেরাউনরা। এরপর দেবতা অটামের নামে শুরু হতো হস্তমৈথুন।
এই অদ্ভুতুড়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে আপনি পড়তে পারেন টিমোথি টেলরের বিখ্যাত ‘The Prehistory of Sex: Four Million Years of Human Sexual Culture’ শীর্ষক গ্রন্থটি। তাঁর মতো আরও অনেকে মাল্টার হাগার কুইয়েম (Ħaġar Qim) প্রত্নস্থলের রেফারেন্স টেনেছেন। তাদের কাছে এই বিষয়টি তেমন বিস্ময়কর মনে হয়নি। উপরন্ত তারা মনে করেন, এটা পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত অর্গিপার্টির আদিরূপ।
অন্যদিকে, প্রখ্যাত গবেষক সারাহ ডেনিং (Sarah Dening) তাঁর ‘The Mythology of Sex’ শীর্ষক গ্রন্থে এমনই বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। সেখানে মিসরের অদ্ভুত সব ঘটনাকে নানাভাবে তুলে ধরতে দেখা যায়।
প্রখ্যাত গবেষক গোয়েন্দোলিন লেইখ (Gwendolyn Leick) তাঁর ‘Sex and Eroticism in Mesopotamian Literature’ এ কাছাকাছি অনেক ঘটনা তুলে ধরেছেন। ঘটনাগুলোর সঙ্গে তুলনা দিলে আমরা খুব সহজেই মিসরের প্রেক্ষিতকে মিলিয়ে নিতে পারি। আর তার আরও প্রমাণ মিলেছে ‘The International Encyclopedia of Human Sexuality’ শীর্ষক সংকলনে ‘Carolyn A. Graves-Brown’ এর লেখা ‘Sexuality: Ancient Egypt’ প্রবন্ধে। এমনি অনেকের দীর্ঘ গবেষণায় কয়েকটি অদ্ভুত বিষয় চিহ্নিত করা গিয়েছে-
- স্বমোহনে বিশ্বসৃষ্টি এবং সদলবলে নীলনদের তীরে স্বমোহন অনুষ্ঠানের আয়োজন।
- মিসরীয় দেবতা ‘মিন’ এর চিরস্থায়ী উত্তেজিত শিশ্নকে পুরুষের শক্তিমত্তার প্রতীক মনে করা।
- বিবাহ-বহির্ভূত এবং জোরপূর্বক যৌনকর্ম মিসরে শাস্তিযোগ্য ছিল। পাশাপাশি ধর্ষণের শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড।
- যৌন অনুভূতিনির্ভর নানা গান মিসরে জনপ্রিয় হয়েছিল।
- অশ্লীল নগ্নচিত্র মিসরীয়দের অনেক পছন্দ ছিল।
- কমনীয়-মোহনীয় নারীদের নানা অঙ্গভঙ্গি আর উত্তেজনাকর দেহসৌষ্ঠবের বর্ণনা মিসরীয় কল্পকথায় গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন মিসরীয়দের কেউ কেউ সমকামীতায় অভ্যস্ত হলেও তা ছিল ঘৃণার যোগ্য।
- কাউকে হুমকি দিতে কিংবা হেয় প্রতিপন্ন করতে মিসরীয়রা যৌন উত্তেজনা সম্পর্কিত গালি ব্যবহার করতো। অন্যদিকে, যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে প্রাচীন মিসরেও অনেকে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা ব্যবহার করেছে।
- পছন্দের নারীকে আকৃষ্ট করতে মিসরীয়রা জাদুটোনার সাহায্য নিয়েছিল।
মিসরের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন নিদর্শন, পিরামিডের গায়ে উৎকীর্ণ লিপি আর প্যাপিরাসে উল্লিখিত তথ্য থেকে মিসরীয়দের যৌনতার নানা অদ্ভুত ধারণা পাওয়া গিয়েছে। এর সঙ্গে পিরামিডের গায়ে আঁকা বিভিন্ন ছবির মিল থাকায় তা উড়িয়ে দেওয়াও সম্ভব হয় না।
১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ফেরাউন তুতেনখামেনের সমাধি আবিষ্কার করা হয়। এর মূল উদ্যোক্তা হিসেবে জর্জ এডওয়ার্ড হার্বার্টের নাম জানা গিয়েছে। লর্ড কার্নারভন নামে অধিক পরিচিত হার্বার্টের সঙ্গীসাথীদের যাঁরা খননকার্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের প্রায় প্রত্যেকের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের কাহিনিও চালু আছে। তবে তুতেনখামেনের সমাধি খনন করে পাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে একটি ছোট চামড়ার থলিও ছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকরা মনে করছেন, এটি আসলে পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন কনডম। জৈব রাসায়নিক পরীক্ষা করে তারা বুঝতে পেরেছেন, গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এটি।
বিজ্ঞানীরা আরও বিস্তৃত তথ্যানুসন্ধানের উদ্দেশ্যে এই কনডমের মধ্যে প্রাপ্ত ডিএনএ পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে তারা নিশ্চিত হন যে, এই কনডম ব্যবহারকারী তুতেনখামেন। তখনকার প্রচলিত রীতি হিসেবে ফেরাউনদের ব্যবহৃত সব ধরনের উপকরণ মমির সঙ্গে সমাধিতে দেওয়া হতো। হয়তো একই কারণে গর্ভনিরোধক হিসেবে তুতেনখামেনের মমির সঙ্গে এই গরুর চামড়ার তৈরি কনডমটি দেওয়া হয়েছিল।
অনেক গবেষক অসমর্থিত তথ্যসূত্র থেকে দাবি করছেন আরও একটি উত্তেজক তথ্য। তাদের দাবি অনুযায়ী তুতেনখামেনের মৃত্যুর পর তার শিশ্নটি সঙ্গমকালীন উত্থানের মতো পুরোপুরি সমকোণে খাড়া করে তার মৃতদেহের মমি করা হয়েছিল। তবে কোনো দুষ্টুলোক ইচ্ছে করেই মমি আবিষ্কারের অল্প সময় পর তুতেনখামেনের এই খাড়া শিশ্ন গায়েব করে দেয়। পরবর্তীকালে অনেকে দাবি করে, দৃশ্যত কুরুচিপূর্ণ মনে হওয়াতে সেই দণ্ডায়মান শিশ্নকে মমি থেকে ভেঙে অন্য কোথাও রাখা হয়।
শবদেহের সঙ্গে সঙ্গমের মতো ভয়ানক অভ্যাসে লিপ্ত হয়েছিল মিসরীয়রা। এমনকি, তাদের এই ভুতুড়ে অভ্যাসের কারণে সম্ভ্রান্ত নারীদের মৃত্যুর পর সরাসরি মমি করার প্রচলনও ছিল না। কারণ, সুন্দরী নারীদের মৃত্যুর পর গোরখুঁড়ে থেকে শুরু করে সমাধির রক্ষক সবার দৃষ্টি থাকতো সেদিকে। তারা সুযোগ বুঝে এই শবদেহের সঙ্গে সঙ্গম করতো।
নানাবিধ বাড়াবাড়ি আর বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ফেরাউনদের শত্রুর অভাব ছিল না। জীবদ্দশায় তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পারা শত্রুরাও প্রতীক্ষায় থাকতো তাদের মৃত্যুর। তারা মনে করতো, দুনিয়ার জীবনে না পারা যাক, পরকালের জীবনে অন্তত প্রতিশোধ নেওয়া গেছে। এজন্যই ফেরাউন পরিবারের নারী-পুরুষ প্রত্যেকের শবদেহ, আরেকটু স্পষ্ট করে বললে যোনিপথ ও পায়ুপথ শত্রুদের কাছে অনিরাপদ ছিল। অনেকক্ষেত্রে ফেরাউনের পরিবারের সদস্যদের লিঙ্গও তাদের মমি থেকে কেটে নিয়ে গিয়েছিল শত্রুরা।
এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে মিসরীয়রা মৃত্যুর পর শবদেহ কয়েকদিন ফেলে রাখত। তারপর যখন শরীরে পচন ধরতো, সেই সময় থেকে শুরু করতো মমি তৈরির কাজ। এর ফলে ফেরাউনদের চেহারাগুলো অমন বিকৃত দেখায়। পচন ধরা শরীরের অবিকল মমি তৈরি করতে না পারলেও যৌনাঙ্গের পচন তাদের মৃত্যুপরবর্তী নিপীড়ন থেকে রক্ষা করতো।
এর বাইরে প্রাচীন মিশরীয় জীবনে যৌনতা ছিল খোলামেলা আর সাধারণ ঘটনা। ভয়াবহ হলেও সত্য যে তারা ভাই-বোনের মধ্যেও যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তাদের যৌনকাতরতার কারণে বেড়ে যায় নিষিদ্ধ শারীরিক সম্পর্ক। এর গোপনীয়তা রক্ষার জন্য তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভপাত দুটিই ব্যবহার করেছিল। তাদের প্যাপিরাসপত্রে অনেক চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র পাওয়া গিয়েছে। সেখানে উল্লেখিত জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ হিসেবে কুমিরের পায়খানা ব্যবহারের কথা জানা যায়।
গর্ভধারণ প্রতিরোধে তাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছিল কয়েকটি দুই কিংবা তিন বছরের স্থায়ী জন্মবিরতিকরণ। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তারা কাঁচা পেপের কষ আর আনারস জাতীয় ফল খাওয়া দিয়ে শুরু করতো। এরপরও কেউ কেউ উচ্চতর প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিত।
স্থায়ী জন্মবিরতিকরণের উদ্দেশ্যে মিসরীয়রা বাবলা গাছের বিচি আর খেজুরের গুঁড়া ব্যবহার করতো। এসবের সঙ্গে মধু মিশিয়ে তারা রোদে শুকাতো। এরপর সেখানে যোগ করতো কার্পাসের মতো কিছু তুলাবীজের গুঁড়া। যৌনসঙ্গমের আগে তারা এই সালসা কিংবা টোটকা পানিতে মিশিয়ে ময়দার লেইয়ের মতো তৈরি করে নিতো। তারপর সেটাকে ঢুকিয়ে দিত যোনিপথে। এর মাধ্যমে আগামী দুই কিংবা তিন বছরের জন্য তাদের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা হতো।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা অবারিত করেছিল সবরকম বৈধ-অবৈধ যৌনসম্পর্ককে। বিশেষ করে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঠিক থাকায় তাদের গোপন শারীরিক সম্পর্কের কথা বাইরে ছড়িয়ে যাবার সুযোগও কমে যেত।
মিসরীয়দের এই অবাধ যৌনতার ইতিহাস খোঁজা যেতে পারে তাদের পুরাণে। প্রশ্ন উঠতে পারে, মিসরীয় পুরাণের বর্ণনা কি তাদের অবাধ যৌনতাকে প্রশ্রয় কিংবা বৈধতা দিয়েছিল? জনপ্রিয় পুরাণের কাহিনি আইসিস-ওসাইরিসের প্রেমকাহিনী থেকে সেই ইঙ্গিতই মলছে। এর বাইরে মিসরীয় পুরাণের যৌন আবেদনমূলক সুড়সুড়ির কাহিনি আর লিঙ্গপূজার ইতিহাসকেও আলাদা করার সুযোগ নেই।
প্রাচীন মিসরীয়দের মতে, পরজন্মের বিচারক, শস্য ও পুনর্জন্মের দেবতা ওসাইরিস (Osiris)। অন্যদিকে, আইসিস (Isis) হলো মাতৃত্ব, জাদুবিদ্যা, আর রোগ নিরাময়ের দেবী। আইসিস এবং ওসাইরিস জন্মগত সম্পর্কে আপন ভাই-বোন এবং জমজ। মিসরীয় পুরাণ বলছে, মায়ের পেটে থাকতেই ওসাইরিস তাঁর বোন আইসিসকে ভালবেসে ফেলে। এরপর তারা বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী হয়।
অন্যদিকে, ওসাইরিসের জন্মের দিন দুয়েক পরে জন্ম নেয় তার ভাই সেট। মিসরীয়রা মনে করে, মরুভূমি, বিশৃংখলা এবং ঝড়ের মতো অনিষ্টের দেবতা সেট (Seth)। দৃশ্যত, ওসাইরিসের চামড়া ছিল কালচে, যা মিশরের উর্বর মাটির পরিচয় বহন করে। অন্যদিকে, সেটের মুখ লাল, এবং চামড়া মিশরের প্রাণহীন মরুভূমির মতো ফ্যাকাশে। তারা এজন্যই সেটের প্রতিকৃতি বিভিন্ন প্রাণীতে প্রকাশ করে। শূকর, গাধা, জলহস্তী বা ওকাপির মতো প্রাণী এক্ষেত্রে স্থান করে নিয়েছে।
ওদিকে, মিসরীয় পুরাণের বর্ণনামতে, মৃতদেহ সৎকার আর পিরামিড রক্ষক হচ্ছে দেবতা আনুবিস (Anubis), আর লিখনশৈলীর আবিষ্কারক থোথ (Thoth)। তারা দুজনে মিলে ওসাইরিসের দেহকে মমি করে। তাদের হিসেবে এটাই হলো পৃথিবীর প্রথম মমি।
তারা ওসাইরিসের হারিয়ে যাওয়া লিঙ্গের প্রতিকৃতির বদলে ডুমুর কাঠের এক বিশাল লিঙ্গ তৈরি করে দেবতা ওসাইরিসের প্রতীক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রাচীন মিশরে লিঙ্গপূজার উদ্ভব এখান থেকেই। তবে আইসিস নিজে ওসাইরিসের লিঙ্গকে যৌনপূজার প্রতীক হিসেবে দাঁড় করায়- এমন সুস্পষ্ট প্রমাণ মিসরীয় পুরাণে নেই।
প্রাচীন মিসরের অন্য সব কিছুর মতো যৌনতাও ছিল মন্দির এবং ধর্ম সম্পর্কিত। অনেক ক্ষেত্রে মন্দিরের পুরোহিতরা সেখানে এমন সব অদ্ভুত নিয়মকানুন দাঁড় করিয়েছিল যা শুনলেও হাস্যকর মনে হবে। তবে এর মূল কারণ ছিল দেশের সবচেয়ে সুন্দরী, মোহনীয় ও কমনীয় তরুণীদের ভোগের উদ্দেশ্যে মন্দিরের সেবাদাসী করে রাখার সুযোগ সৃষ্টি। আর এই অপকর্মের সিংহভাগ এসব পুরোহিত করেছে ধর্ম আর দেবতাদের দোহাই দিয়ে।
ধীরে ধীরে তারা পুরাণের নানা গল্পকে বাস্তবে ঠাঁই দিয়েছে সত্য বলে প্রতীয়মান করার উদ্দেশ্যে। ওদিকে, বিভিন্ন তথ্যসূত্র আর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিশ্লেষণ করে মিসরীয়দের যৌনতার যে ভুতুড়ে প্রমাণ মিলেছে তা অস্বীকার করে সাধ্য কার? এক্ষেত্রে তুতেনখামেনের ব্যবহৃত গরুর চামড়ার কনডম, দলবেধে নীলনদের তীরে হাজির হয়ে স্বমোহন, কিংবা ডুমুর কাঠের তৈরি ওসাইরিসের বিরাট লিঙ্গ একই সুতোয় গাঁথা।